ব্যাগগুলোতে নিয়মিত পানি স্প্রে করতে হবে।
কালীগঞ্জে বাণিজ্যিক পেঁপে চাষে সফল কৃষক
মাশরুমের মধ্যে অনেক পুষ্টি রয়েছে। কারণ, আমরা প্রতিদিন যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি তার চেয়ে মাশরুমের পুষ্টিগুণ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। এটি পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি খাবার। এটি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ সহ শরীরকে সুস্থ রাখতে খুবই সহায়ক। মাশরুমে ভরপুর প্রোটিন রয়েছে এবং এতে কোনো প্রকার ক্ষতিকর চর্বি নেয় যার ফলে এটি নিয়মিত খেলে শরীর ভালো থাকার পাশাপাশি জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
এবার ভেজা খড়গুলো একটা কাগজের ওপর স্তূপ করে রেখে তার ওপর আরেকটি কাগজ দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিন।
মাশরুম উৎপাদন পদ্ধতি: বীজ প্যাকেট প্রস-তকরণ; সাদা মাইসেলিয়াম সমৃদ্ধ মাশরুমের বীজ প্যাকেটের মুখ বন্ধ থাকলে রাবার ব্যান্ড, কাগজ, তুলা ও প্লাস্টিক নেক খুলে আলাদা করে আবার প্যাকেটের মুখটি শুধু রাবার ব্যান্ড দিয়ে পেচিয়ে ভালভাবে আটকাতে হবে; তারপর কম্পোস্ট প্যাকেটের উপরের দুপাশে (বিপরীত দিকে) ব্লেড দিয়ে গোলাকার বা চোখের আকৃতি করে ৩-৪ সে.মি. পলিথিন ব্যাগ কেটে ফেলতে হবে; কাটা অংশে চা চামচ দিয়ে ১ সে.মি. গভীর করে কম্পোস্ট চেঁছে ফেলতে হবে। এ ব্যবস্থাকে মাশরুম উৎপাদনের জন্য উদ্দিপ্তকরণ বলে; কম্পোস্ট প্যাকেট গুলো এবার একটি সুবিধামত পাত্রে পরিষ্কার পানিতে ৩০ মিনিট পর্যন- ডুবিয়ে রাখতে হবে; পানির পাত্র থেকে প্যাকেটগুলো উঠিয়ে পরিষ্কার স্থানে ৩০ মিনিট পর্যন- উল্টো করে রাখতে হবে যাতে প্যাকেটের বাড়তি পানি ঝরে পড়ে; এখন কম্পোস্ট প্যাকেটগুলো মাশরুম চাষের জন্য প্রস্তুত হল। মাশরুম উৎপাদনের ঘরে মাচার উপর প্রয়োজন অনুযায়ী একটি ভেজা পলিথিন পেতে উক্ত কম্পোস্ট প্যাকেটগুলো মাচার উপর রাখতে হবে এবং আর একটি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
ঘরে বসে মাশরুম চাষ করা যায় খুব সহজেই। করোনাকালে যারা ঘরে বসে দিন কাটাচ্ছেন তারা এটি চাষ করতে পারেন। মাশরুম অনেক পুষ্টিকর খবার। এই সময়ে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন হাই প্রোটিনযুক্ত ডায়েটের। মাশরুম হাই প্রোটিনযুক্ত। হজম হয় তাড়াতাড়ি। প্রোটিন ছাড়াও এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজপদার্থ।
১ মিটার লম্বা, ১ মিটার চওড়া এবং ৩০ সি.মি. উঁচু তলাবিহীন কাঠের বাক্সটি পলিথিন বিছানো কাগজের ওপর রাখুন।
বর্তমানে এই মাশরুমের চাষ শুরু হয়েছে। সাধারণ মাশরুম উদ্যোক্তা ও মাশরুম চাষিরা প্রতি শীতে অর্থাৎ নভেম্বর থাকে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রচুর বাটন মাশরুম উৎপাদন করতে পারবে।
খাবারের উপযোগী মাশরুমঃ বাংলাদেশে সাধারণত চার জাতের খাবার উপযোগী মাশরুম চাষ হয়ে থাকে। যথা-
বিভিন্ন রোগব্যধিতে মাশরুম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমনঃ বাত, ব্যথা, জন্ডিস, কৃমি কিংবা রক্ত বন্ধ হওয়ার কাজে মাশরুম ব্যবহার করা হয়।
বীজ ছিটানোর পর একই নিয়মে আবার ৮-১০ সে.মি. করে খড় বিছিয়ে ২য় স্তর তৈরি করে একইভাবে তুলো বিছিয়ে তাতে মাশরুম বীজ ছড়িয়ে দিন।
অন্য তথ্যাবলী >> ৫ মিটার লম্বা ও ৪ মিটার চওড়া ঘরের মেঝেতে পূর্বে বর্ণিত পরিমাপের ৩০টি বেডে একত্রে মাশরুম চাষ করা যায়।
এখন পলিব্যাগের মুখটা ভালো করে বন্ধ করে দিন। খড়গুলোকে বিছানোর সময় প্রতিবার হাত দিয়ে ভালো করে চেপে more info দিবেন, যাতে করে খড়ের ভিতর কোনো বাতাস না থাকে।
চাছার পর ব্যাগটি পরিষ্কার পানিতে ২১-৩০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে।